# **যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার জন্য যা যা লাগবে (এক নজরে)**
# **আমেরিকাতে পড়তে যাবেন, কি কি লাগবে, তার একটা overall checklist. যখন সবগুলোতে টিক দেয়া হয়ে যাবে, তার মানে আপনার এপ্লাই করার কাজ শেষ……**
01) Academic Transcripts (Direct/Evaluated) – অনার্সের ট্রান্সক্রিপ্ট লাগবে। অধিকাংশ ইউনিভার্সিটি মিনিমাম সিজিপিএ হিসেবে ৩.০০ চায়। কিন্তু এর চেয়ে উন্নত গ্রেড থাকা অবশ্যই ভালো। সিজিপিএ ভালো না হলে অন্যদিকে (নিচের গুলোতে) নিজের যোগ্যতা বাড়াতে হবে। এটা ভালো কোন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠানো ভালো। যারা Health science ব্যাকগ্রাউন্ডের (যেমন, Pharmacy, Genetic Engineering etc.), তাদের অনেকেরই US system এ evaluated transcript লাগে। WES এমন একটি সংস্থা যারা এ ধরনের evaluation এর কাজ করে থাকে।
02) Passport – পাসপোর্ট ছাড়া বিদেশে যাওয়া যায় না, এ তো জানা কথা। কিন্তু পাসপোর্ট না থাকলে GRE, TOEFL এই পরীক্ষাগুলোও দেয়া যাবেনা। আবেদন করা এখন আগের চেয়ে অনেক সহজ। GRE, TOEFL preparation নেয়া শুরু করার সাথে সাথেই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করে ফেলুন।
03) GRE/GMAT Scores – অনার্সে ভর্তি হতে হলে যেমন এইচ এস সি দিতে হয়, আমেরিকাতে মাস্টার্স বা পিএইচডি করার জন্য তেমনি এই পরীক্ষাটা দিতে হয়। শুধু বাংলাদেশী না, আমেরিকানদেরকেও এটা দিয়েই মাস্টার্স-পিএইচডি তে ঢুকতে হয়। বিজনেস স্কুলে ঢুকতে হলে GMAT, আর অন্য সকল জায়গায় GRE লাগে। আগের সিস্টেমের GRE তে মিনিমাম ১১৫০, নতুন রিভাইজড GRE তে ৩০০ এর ওপরে পাওয়া দরকার। যত বেশি পাওয়া যায়, ততই সুবিধা।
04) TOEFL (Test Of English as a Foreign Language) Scores – ইংরেজি ভাষায় নিজের দক্ষতা প্রমাণের জন্য এই পরীক্ষাটা দেয়া লাগে। অধিকাংশ ইউনিভার্সিটি মিনিমাম ৮০ (১২০ এর মধ্যে) চায়। তবে তাদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা (ফান্ডিং) আদায় করতে হলে ৯০ এর ওপরে পাওয়া উচিৎ।
05) Search universities and Contact with Professors – GRE/GMAT এবং TOEFL/IELTS এর প্রস্তুতির সময় থেকেই ইউনিভার্সিটি খোঁজা উচিৎ এবং ভবিষ্যৎ সুপারভাইজার এর সাথে যোগাযোগ করা উচিৎ। চারটা ইউনিভার্সিটিতে ফ্রি GRE (পরীক্ষার দিনে), TOEFL (পরীক্ষার আগের দিনে) স্কোর পাঠানো যায়। সেই ইউনিভার্সিটিগুলো পরীক্ষার আগেই সিলেক্ট করতে হবে এবং এই সিলেকশনের পেছনে কিছুটা সময় ইনভেস্ট করা উচিৎ।
6) Statement of Purpose (SOP) – কিভাবে, কখন, কেন এই বিষয়ে আপনার আগ্রহ গড়ে উঠলো; আপনার এই বিষয়ে পড়ার যোগ্যতা কতটুকু; কেন ঐ ইউনিভার্সিটি আপনার পছন্দ হয়েছে এবং এখানে পড়ার পর আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী – এসব নিয়ে একটা ২ পৃষ্ঠার মত রচনা লিখতে হয়। এই জিনিসটা খুব-খুব-খুবই জরুরী এবং ২/৩ মাস ধরে লেখা-এডিট করা-রিভাইজ করা প্রয়োজন। অনেক সময় এটার ওপর ফান্ডিং হয়ে যায়। ভুলেও কোনদিন নকল করবেন না।
07) Recommendation Letter (LOR) – আপনার স্যার বা রিসার্চ সুপারভাইজার আপনার একটু গুণগান করে দেবে, এই আর কী!
08) Résumé – সোজা ভাষায়, বায়োডাটা, আজকাল বিয়ে করতে হইলেও এটা লাগে। আর আমেরিকায় পড়তে যাবেন, এটা ছাড়া? তা কী হয়! সুন্দর করে সাজাবেন।
09) Research Proposal – অধিকাংশ সময়েই লাগে না এই জিনিসটা। আপনার রিসার্চের প্রতিপাদ্য বিষয় এবং কি পদ্ধতিতে সেটা carry out করবেন, সেটা নিয়ে একটা রচনা। SOP এর মধ্যেই এর কিছু কিছু জিনিস চলে আসে।
10) Financial Document – জাস্ট একটা ফরম্যালিটি। ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বছরের খরচ চালানোর সামর্থ্য আপনার (অথবা আপনার বাবা-মা’র অথবা নিকট-আত্মীয় এমনকি পারিবারিক বন্ধুর ব্যাংক একাউন্টে) আছে কিনা, সেটার একটা ডকুমেন্ট। অনেক ভার্সিটি আছে, যাদেরকে এটা পাঠাতে হয় admission decision এর পরে। Admission decision এর পর ওদের কাছ থেকে এসিস্ট্যান্টশিপের দলিল পেয়ে গেলে এটাও লাগে না।
11) Medical Certificate – আপনার শরীরে (অথবা মনে !!) ভয়াবহ কোন রোগ যে নেই, ভবিষ্যতে না হওয়ার জন্য টীকা দেয়া হয়েছে কিনা, সেটার দলিল। অনেক ক্ষেত্রেই এপ্লাই করার সময় এটা লাগে না, ওরা এডমিশন দিলে তারপর লাগে।
12) Phone Interview – অনেক সময় এপ্লিকেশনের অংশ হিসেবে ওরা আপনার সাথে কথা বলতে চাইতে পারে।
13) Online Application – ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইটে গিয়ে ওদের পোর্টালেই একটা অনলাইন এপ্লিকেশন পূরণ করতে হয়। আপনার পূর্ববর্তী পড়াশোনার ইতিহাস, বর্তমান-স্থায়ী ঠিকানা, এগুলি এখানে দিতে হয়। আপনার SOP, রিকমেন্ডেশন লেটার (LOR) কোন কোন স্যারদের কাছ থেকে নেবেন, সেই স্যারদের কনট্যাক্ট ইনফর্মেশনও অনেক সময় এই অনলাইন একাউন্টেই দিতে হয়। এই একাউন্টেই CV আপলোড করতে হয় সাধারণত।
দুনিয়ার ইনফর্মেশন দিতে হয়। যেমন, শেষ পহেলা বৈশাখের দুপুরে কি দিয়ে ভাত খেয়েছিলেন, হি হি, just kidding. কিন্তু হ্যাঁ, ৬/৭ পৃষ্ঠা থাকে। তবে জিনিসটা খুবই সোজা এবং সব মিলিয়ে ৩০ মিনিটের বেশি লাগে না। All in all, take good care, but don’t worry. It’s easy !!
শেষ…… এবার ওদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা।