জার্মানি

জার্মানি পশ্চিম ইউরোপীয় একটি দেশ। এর মোট জনসংখ্যা তিরাশি মিলিয়নের একটু বেশি। প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, পোল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, নেদারল্যান্ড, ডেনমার্ক এবং আরো কিছু দেশ। 

 

জার্মানি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য এবং সেনজেনভুক্ত দেশ। জ্ঞান- বিজ্ঞান, সংস্কৃতিতে পৃথিবীর উপরের সারিব দেশগুলোর মধ্যে জার্মানি একটা। জার্মানির ভার্সিটিগুলোর পড়ালেখার মান অত্যান্ত ভালো বিশেষ করে প্রকৌশল সেক্টরে জার্মানি অতুলনীয়। 

 

জার্মানির বিভিন্ন ভার্সিটি থেকে আপনি বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাচেলর, মাস্টার্স বা পিএইচডি ডিগ্রি নিতে পারবেন। নিচে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

 

★ ব্যাচেলার ডিগ্রি: জার্মান ভার্সিটিগুলোতে ব্যাচেলার কোর্সগুলো চার বছরের। তবে বাংলাদেশ থেকে যারা ব্যাচেলর করতে যেতে চান তাদেরকে অবশ্যই দেশের কোনও ভার্সিটিতে (anabin listed) আগে এক বছর সেই বিষয়ে পড়তে হবে। জার্মান ভার্সিটিগুলোতে ব্যাচেলারের বেশিরভাগ কোর্সগুলো জার্মান ভাষার তবে বেশকিছু ভার্সিটি আছে যেখানে ইংরেজিতে পড়ানো হয়। আপনি ইংরেজিতে পড়তে হলে IELTS-এ ৬.৫ থাকলে নিরাপদ কারণ বেশিরভাগ ভার্সিটি ৬.৫ চায় আবার কিছু ভার্সিটি ৬.০ ও চায়। যাইহোক, অ্যাপ্লিকেশন করার আগে রিকোয়ামেন্টগুলো চেক করে নিবেন। আর জার্মান ভাষায় পড়তে চাইলে জার্মান ভাষা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। 

 

★ মাস্টার্স ডিগ্রি: জার্মান ভার্সিটিগুলোতে এটি সাধারণত দুই বছরের কোর্স তবে কিছু কিছু কোর্স এক বছরেরও হয়। বেশির ভাগ ভার্সিটি গুলোতে আপনি আপনার পছন্দের বিষয়টি ইংরেজিতে পড়তে পারবেন। ইংরেজি ভাষার দক্ষতা পরীক্ষা IELTS-এ ৬.৫ থাকতে হবে তবে কিছু কিছু ভার্সিটি ৬.০ বা ৭.০ চায়। আপনি আবেদন করার আগে অবশ্যই চেক করে নিবেন।

 

** জার্মানির কিছু কিছু ভার্সিটিতে ইংরেজিতে যে কোর্সগুলো অফার করে সেগুলোতে আবেদনের জন্য IELTS এর প্রয়োজন পড়ে না। আপনি যদি ব্যাচেলার ইংরেজিতে করে থাকেন তবে ভার্সিটি থেকে এই বিষয়ে একটি লিখিত ডকুমেন্ট নিয়ে আবেদন করতে পারবেন। আপনি যদি অফার লেটার পানও ভিসা হবার সম্ভাবনা কম।

 

★ আবেদনের সময়: শীতকালীন সেশান এর জন্য ভার্সিটিগুলো সাধারণত ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখ থেকে জুলাইয়ের ১৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করে। গ্রীষ্মকালীন সেশানের জন্য আবেদনের সময় অক্টোবরের ১ তারিখ থেকে জানুয়ারির ১৫ তারিখ পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে হ্যাঁ, ভার্সিটি ভেদে আবেদনের তারিখের তারতম্য হতে পারে। 

 

★ আবেদন ফি: বেশ কিছু ভার্সিটি আছে যেখানে আপনি ফ্রি-তে আবেদন করতে পারবেন। তবে বেশিরভাগ কোর্স  uni assist এর মাধ্যেমে করতে হয়। সেক্ষেত্রে প্রথম আবেদনের ক্ষেত্রে ৭৫ ইউরো এবং এরপর যতগুলো করবেন ৩০ ইউরো করে দিতে হবে। আর হ্যাঁ uni assist বরাবর আপনার সকল ডকুমেন্ট (নোটারি করা) পাঠাতে হবে। সেক্ষেত্র ২০০০ বাংলাদেশি টাকার মতো লাগে।

 

★ টিউশান ফি: ৮০% জার্মান ভার্সিটিতে আপনাকে কোন টিউশন ফি দিতে হবে না। সাধারণত প্রতি সেমিস্টারের শুরুতে অল্প কিছু ফি দিতে হয়। তবে বর্তমানে বেশ কিছু শহরের ভার্সিটিগুলোতে টিউশান ফি যোগ করেছে। নিচের ওয়েবসাইট থেকে দেখে নিতে পারবেন কোন কোন ভার্সিটিতে টিউশন ফি আছে বা নেই, আবেদনের শর্ত সহ অনেক দরকারি তথ্য।

https://www.daad.de/en/

 

★ স্কলারশিপ: জার্মানিতে বেশ কিছু স্কলারশিপ আছে তবে এদের মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় DAAD স্কলারশিপ। এছাড়াও Erasmus Mundus স্কলারশিপ বেশ জনপ্রিয়। 

 

★ পার্ট-টাইম জব: জার্মানির ছোট শহরগুলোর তুলনায় বড় শহরগুলোতে তুলনামূলক সহজে পার্ট-টাইম জব পাওয়া যায়। আপনি বছরে ১২০ দিন ফুল টাইম এবং ২৪০ দিন দিনের অর্ধেক সময় কাজ করতে পারবেন। প্রতি মাসে গড়ে ৫০০- ১৫০০ ইউরো পর্যন্ত আয় করা যায়। ভালো চাকুরির জন্য জার্মান জানা আবশ্যক।

 

★ ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট: Fintiba বা Deutsche Bank-এ অনলাইনে অ্যাকাউন্ট খুলে আপনাকে মিনিমাম ১০,২৩৬ ইউরো পাঠাতে হবে এবং তা অবশ্যই ভিসা আবেদনের পূর্বে। এই টাকা আপনি ভিসা পাবার পরও তুলতে পারবেন না। জার্মানিতে যাবার পর প্রতি মাসে একটা নিদিষ্ট পরিমাণ ইউরো আপনি তুলতে পারবেন। সম্ভবত ৮৫৩ ইউরোর মতো। আপনি জার্মানিতে যাবার পর এক বছরের জন্য ভিসা পাবেন। কিছু কিছু শহরে একবছর পর ভিসা নবায়ন করার জন্য আবার এই একই পরিমাণ ইউরো দেখাতে হবে তবে কিছু কিছু শহরে এটি দেখাতে হয় না।

অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র:

১. আবেদন পত্র

২. পাসপোর্ট

৩. অ্যাডমিশন লেটার

৪. ব্যাংক স্ট্যাটমেন্ট ( দেখাতে হবে যে আপনার ব্যাংক একাউন্টে এই পরিমাণ টাকা আছে)

৫. আবেদন ফি

 

** আপনার লেখাপড়া শেষে চাকুরী খোঁজার জন্য ১৮ মাসের টেম্পোরারি ভিসার আবেদন করতে পারবেন।

 

Collected by Meer Eikram

💬
BANGLAY AI