IELTS Test কী এবং কীভাবে নেওয়া হয়?

উপরের লেখাগুলোতে আমরা জেনেছি IELTS কী, কেন দিতে হয়, কখন প্রস্তুতি নিতে হয় এসব নিয়ে। আজকে জেনে নেওয়া যাক, যে-ই IELTS পরীক্ষা আমরা দিব সেটা কী এবং কীভাবে দিতে হয়। মূলত দুই দিনে IELTS পরীক্ষা হয়। যে তারিখের জন্য রেজিস্ট্রেশন করা হয় সেই দিনে লিসেনিং, রিডিং আর রাইটিং হয় যথাক্রমে। আর এই দিনের দুই/তিন দিন আগে বা পরে স্পিকিং টেস্ট হয়। নিচে প্রতিটা মডিউল সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো।

লিসেনিং: এই মডিউলে ৪টা সেকশান থাকে। প্রতি সেকশানে ১০টা করে প্রশ্ন থাকে। মোট ৪০টা প্রশ্ন থাকে যার প্রতিটার মার্ক থাকে ১ করে। এই ৪০টার কতটা ঠিক হবে তার উপরে আসলে ব্যান্ড স্কোর নির্ধারণ করা হয়। এইখানে আসলে ৪ সেকশনে ৪ রকম অডিও থাকে। অডিও শুনতে শুনতে প্রশ্নের উত্তর করতে হয়। ভয় পাওয়ার কিছু নেই, ৪-৫টা প্রশ্ন পড়ে পরের ৪-৫টা পড়ার জন্য সময় দেওয়া হয় আর উত্তর প্রশ্নের ক্রমানুসারে থাকে। সাধারণত ৬ধরনের প্রশ্ন থাকে লিসেনিং মডিউলে। https://www.ielts.org/about-the-test/test-format এই সাইটে সুন্দর করে প্রতিটা টাইপ সম্পর্কে ধারণা দেওয়া আছে।

রিডিং: এই মডিউলে ৩টা সেকশান থাকে। প্রতি সেকশানে ১৩ থেকে ১৪টা করে প্রশ্ন থাকে। সাধারণত শেষেরটায় ১৪টা প্রশ্ন থাকে। মোট ৪০টা প্রশ্ন থাকে যার প্রতিটার মার্ক থাকে ১ করে। এই ৪০টার কতটা ঠিক হবে তার উপরে আসলে ব্যান্ড স্কোর নির্ধারণ করা হয়। এই মডিউলে ৩টা প্যাসেজ থাকবে এবং প্যাসেজ পড়ে উত্তর করতে হবে। আমাদের ৯ম-১০ম শ্রেণির ইংরেজি ১ম পত্রের মতো করে আরকি। এই মডিউলে সময় আর প্যারাফ্রেজ(একই কথা ঘুরিয়ে বলা যেটাকে বলে) বেশি গুরুত্বপূর্ণ। রিডিং-এ সাধারণত ১১ধরনের প্রশ্ন থাকে। https://www.ielts.org/about-the-test/test-format এই সাইটে সুন্দর করে প্রতি টাইপের সম্পর্কে ধারনা দেওয়া আছে।

রাইটিং: এই মডিউলে আসলে ২টা প্যাসেজ লিখতে হয়। ১ম প্যাসেজটায় একটা ভিজুয়ালের বর্ণনা করতে হয় আর ২য় প্যাসেজে একটা বিষয়ে মতামত ও তার পক্ষে/বিপক্ষে যুক্তি দিতে হয়। টাস্ক ১ ও ২ এর জন্য ieltsliz এর ওয়েবসাইট খুবই অসাধারণ। খুব যত্ন করে এই সাইটের উত্তর আর পরামর্শগুলো ফলো করে প্রস্তুতি নিলে রাইটিং-এ ভালো করা যায়। আশা করি, এই লিংকটা কাজে আসবে… http://ieltsliz.com/ielts-writing-task-1-lessons-and-tips/ http://ieltsliz.com/ielts-writing-task-2/

স্পিকিং: এই মডিউলে আসলে একজন শিক্ষকের সাথে ১২-১৫ মিনিট কথা বলতে হয়। প্রথম ৪-৫ মিনিট কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর করতে হয়। তারপর একটা টপিকের উপরে ১-২ মিনিট কথা বলতে হয়। এখানে প্রস্তুতির জন্য ১ মিনিট সময় দেওয়া হয়। এরপর ৫-৬ মিনিট আবার প্রশ্ন-উত্তর করতে হয়। কিন্তু এবারের প্রশ্নগুলা একটুু বিশ্লেষণধর্মী এবং ৩-৫ লাইনে উত্তর করতে হয়। আসলে উত্তরটার কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে মূলত। IELTS Speaking Sample লিংকটাতে ঘুরে আসলে সম্যক ধারণা পাওয়া যাবে।