ফিনল্যান্ডে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী

ফিনল্যান্ডে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বিদেশে অধ্যয়নের জন্য সবচেয়ে পছন্দসই স্থানের মধ্যে একটি হচ্ছে ফিনল্যান্ড। বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী সেখানে ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পিএইচডি ও বিভিন্ন কোর্সে অধ্যয়ন করছেন। ফিনল্যান্ডের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা বিশ্বের অন্যতম সেরা হিসেবে পরিচিত।
ফিনল্যান্ড ইউরোপ মহাদেশের সবচেয়ে সুন্দরতম দেশগুলোর মধ্যে একটি। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা সেখানে তাদের জীবনটাকে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি উপভোগ করছেন। সেখানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষাব্যবস্থা, সুরক্ষা এবং যোগাযোগের ব্যাপারে খুব ভালো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়। ফিনল্যান্ড সরকার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের তাদের দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোতে চাকরির সুযোগ দিয়ে থাকেন।
সুইডেন, নরওয়ে ও রাশিয়ার প্রতিবেশি দেশ হচ্ছে ফিনল্যান্ড। দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকা সত্ত্বেও সেখানকার বেকারত্বের হার মাত্র ৮.৭ শতাংশ। ফিনল্যান্ডের মাথাপিছু জিডিপি অস্ট্রিয়া ও নেদারল্যান্ডের তুলনায় বেশি। ফিনল্যান্ডের ৮টি বিশ্ববিদ্যালয় সারা বিশ্বের রাঙ্কিং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে।
সেখানকার প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়েই ইংরেজি পাঠদান কর্মসূচি রয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা সেখানকার বিভিন্ন প্রোগ্রামে ইংরেজিতে পড়ালেখা করতে পারে। মাস্টার্স প্রোগ্রাম ব্যতিত অন্যান্য প্রোগ্রামে শতভাগ বৃত্তিতে পড়ালেখা করার সুযোগ রয়েছে।
ফিনল্যান্ডে মাস্টার্স প্রোগামে ভর্তি হওয়ার নির্দিষ্ট কোনো ক্যালেন্ডার নেই। বিভিন্ন প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার জন্য কিছু নিয়মনীতি অনুসরণ করার প্রয়োজন হয়, সেগুলো হচ্ছে-
১. সঠিক প্রোগ্রাম ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন
২. আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তি হওয়ার নিয়মনীতি
৩. লিভিং ও টিউশন ফি চেক করা
৪. সেমিস্টার শুরু হওয়ার আগে আবেদন করা (ফিনল্যান্ডে নথিভুক্তির সময়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর নির্ভর করে)।
৫. নিজের দেশ থেকে আবাসিক পারমিটের জন্য আবেদন করা
৬. থাকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা
ফিনল্যান্ডে অধ্যয়নের ৫টি কারণ-
১. বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশে বসবাসের সুযোগ
২. বিশ্বের সেরা উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণ পদ্ধতিতে অধ্যয়নের সুযোগ
৩. সুস্বাস্থ্যকর পরিবেশ
৪. বিশ্বের তৃতীয়তম পরিষ্কার বায়ুতে শ্বাস নেওয়ার সুযোগ
৫. বিশ্বের সর্বাধির উদ্ভাবনী দেশে দক্ষতা অর্জনের সুযোগ
ফিনল্যান্ডের শীর্ষস্থানে অবস্থানরত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে-
আর্কেডা ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লাইড সায়েন্স, হেলসিঙ্কি স্কুল অব বিজনেস, হ্যাম ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লাইড সায়েন্স, কাজানি ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লাইড সায়েন্স, সাতাকুন্তা ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লাইড সায়েন্স, ল্যাপিনরান্ট ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি