★ কোচিং: কোচিং এর কোন প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না কারণ অনলাইনেই সব পাওয়া যায়। আপনার বেসিক যদি খুবই দুর্বল হয় সেক্ষেত্রে একটা গাইডলাইন এর দরকার পড়ে। কিন্তু যারা মাস্টার্সের জন্য অ্যাপ্লাই করবেন তাদের কোচিং দরকার নাই কারণ আপনি অলরেডি চার বছর ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ে আসছেন। আপনার শুধু এক্সাম প্যাটার্নটা জানা দরকার আর বেশি বেশি চর্চা!
★ অনলাইন রিসোর্চ: প্রস্তুতি নেওয়ার শুরুতেই আমরা অনেকে অনেক বই, ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল এর বিশাল লিস্ট বানিয়ে ফেলি! এটা খুবই নরমাল একটা ব্যাপার। পরে হারিয়ে যাই নানা মুনির নানা মত শুনে! এক্সাম সম্পর্কে আইডিয়া নেয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু (http://ieltsliz.com/) ফলো করবেন। তারপর আপনি বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রশ্নপত্র নিয়ে চর্চা করতে পারেন।
★ টেস্ট ফরম্যাট: (অ্যাকাডেমিক)
*লিসেনিং: এই মডিউলে ৪টা সেকশান থাকে। প্রতি সেকশানে ১০টা করে প্রশ্ন থাকে। মোট ৪০টা প্রশ্ন থাকে যার প্রতিটার মার্ক থাকে ১ করে। এই ৪০টার কতটা ঠিক হবে তার উপরে আসলে ব্যান্ড স্কোর নির্ধারণ করা হয়। এইখানে আসলে ৪ সেকশনে ৪ রকম অডিও থাকে। অডিও শুনতে শুনতে প্রশ্নের উত্তর করতে হয়। ভয় পাওয়ার কিছু নেই, ৪-৫টা প্রশ্ন পড়ে পরের ৪-৫টা পড়ার জন্য সময় দেওয়া হয় আর উত্তর প্রশ্নের ক্রমানুসারে থাকে। সাধারণত ৬ধরনের প্রশ্ন থাকে লিসেনিং মডিউলে। https://www.ielts.org/about-the-test/test-format এই সাইটে সুন্দর করে প্রতিটা টাইপ সম্পর্কে ধারণা দেওয়া আছে।
*রিডিং: এই মডিউলে ৩টা সেকশান থাকে। প্রতি সেকশানে ১৩ থেকে ১৪টা করে প্রশ্ন থাকে। সাধারণত শেষেরটায় ১৪টা প্রশ্ন থাকে। মোট ৪০টা প্রশ্ন থাকে যার প্রতিটার মার্ক থাকে ১ করে। এই ৪০টার কতটা ঠিক হবে তার উপরে আসলে ব্যান্ড স্কোর নির্ধারণ করা হয়। এই মডিউলে ৩টা প্যাসেজ থাকবে এবং প্যাসেজ পড়ে উত্তর করতে হবে। আমাদের ৯ম-১০ম শ্রেণির ইংরেজি ১ম পত্রের মতো করে আরকি। এই মডিউলে সময় আর প্যারাফ্রেজ(একই কথা ঘুরিয়ে বলা যেটাকে বলে) বেশি গুরুত্বপূর্ণ। রিডিং-এ সাধারণত ১১ধরনের প্রশ্ন থাকে। https://www.ielts.org/about-the-test/test-format এই সাইটে সুন্দর করে প্রতি টাইপের সম্পর্কে ধারনা দেওয়া আছে।
*রাইটিং: এই মডিউলে আসলে ২টা প্যাসেজ লিখতে হয়। ১ম প্যাসেজটায় একটা ভিজুয়ালের বর্ণনা করতে হয় আর ২য় প্যাসেজে একটা বিষয়ে মতামত ও তার পক্ষে/বিপক্ষে যুক্তি দিতে হয়। টাস্ক ১ ও ২ এর জন্য ieltsliz এর ওয়েবসাইট খুবই অসাধারণ। খুব যত্ন করে এই সাইটের উত্তর আর পরামর্শগুলো ফলো করে প্রস্তুতি নিলে রাইটিং-এ ভালো করা যায়। আশা করি, এই লিংকটা কাজে আসবে… http://ieltsliz.com/ielts-writing-task-1-lessons-and-tips/ http://ieltsliz.com/ielts-writing-task-2/
*স্পিকিং: এই মডিউলে আসলে একজন শিক্ষকের সাথে ১২-১৫ মিনিট কথা বলতে হয়। প্রথম ৪-৫ মিনিট কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর করতে হয়। তারপর একটা টপিকের উপরে ১-২ মিনিট কথা বলতে হয়। এখানে প্রস্তুতির জন্য ১ মিনিট সময় দেওয়া হয়। এরপর ৫-৬ মিনিট আবার প্রশ্ন-উত্তর করতে হয়। কিন্তু এবারের প্রশ্নগুলা একটুু বিশ্লেষণধর্মী এবং ৩-৫ লাইনে উত্তর করতে হয়। আসলে উত্তরটার কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে মূলত। IELTS Speaking Sample লিংকটাতে ঘুরে আসলে সম্যক ধারণা পাওয়া যাবে।
★ টিপস:
- লিসেনিং-এ ভালো করা আমার মতে সবথেকে সহজ। আগে থেকে ইংলিশ মুভি দেখার অভ্যাস থাকলে আপনার জন্য একটা বিশাল প্লাস পয়েন্ট। লিসেনিং-এ রাতারাতি ভালো করার কোনও সুযোগ নেই। বেশি করে ডকুমেন্টারি ফিল্ম দেখুন, ইউটিউবে লিসেনিং টেস্ট দিতে থাকুন। লিসেনিং টেস্ট এর সময় আপনাকে প্রত্যেকটা সেকশানের প্রশ্নগুলো পড়ার জন্য কিছু সময় দিবে, তখন কিওয়ার্ড গুলো খেয়াল করবেন, অডিও শোনার সময় এটা আপনাকে সাহায্য করবে।
- রিডিং-এ অনেকেই আগে পুরো প্যাসেজ পড়েন এবং এক্ষেত্রে বেশীরভাগ সময় নষ্ট হয়। আমি সাজেস্ট করবো আগে প্রশ্ন পড়ে তারপর প্যাসেজ পড়বেন এবং এক্ষেত্রেও কিওয়ার্ডগুলো খেয়াল করতে হবে। রিডিং এর ক্ষেত্রে চর্চার কোনও বিকল্প নেই। দ্রুত পড়ার অভ্যাস এবং অগুরুত্বপূর্ণ অংশ শুধু চোখ বুলিয়ে পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে।
- রাইটিং-এ আর কী বলব! আমি নিজেই ধরা খাইছি। আমার মতে, এইটাই সব থেকে কঠিন। স্ট্রাকচার ঠিক রেখে লিখতে হবে আর যত বেশি সম্ভব প্যারাফ্রেজিং করতে হবে, মানে সিনোনিম ব্যবহার করতে হবে। ওয়ার্ড কাউন্ট ঠিক রেখে লিখতে হবে। কোনওভাবেই কম লেখা যাবে না। ওয়ার্ড কাউন্ট এর জন্য একটা কাজ করবেন, এক লাইন লিখে দেখে নিবেন কয়টা ওয়ার্ড হয়, তারপর ওইটার উপর ভিত্তি করে পড়ে জাস্ট লাইন গুনবেন। (যেমন- আমার এক লাইনে ৭-৮ টা ওয়ার্ড থাকে, তার মানে ১৫০ ওয়ার্ড এর জন্য আমার কমপক্ষে ২০টা লাইন লিখতে হবে, এতে করে ওয়ার্ড কাউন্টে আপনার সময় নষ্ট হবে না) টাস্ক-১ এ কোনওভাবেই ২০ মিনিট এর বেশি নেয়া যাবে না। সেকশন-২ এর ক্ষেত্রে ৩-৪ মিনিট ধরে শুধু আপনার আইডিয়া সাজাবেন এবং খেয়াল রাখবেন যাতে Introduction, Main Idea, Supporting Idea, Example/Comparison, Conclusion কোনও টা মিস না হয়।
- স্পিকিং-এ আপনাকে যত বেশি সম্ভব নরমাল থাকার ট্রাই করতে হবে। ২-৩ টা প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পরে জড়তা কেটে যাবে। হাসিমুখে কথা বলা এবং আই কনটাক্ট ধরে রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিউ কার্ডের ক্ষেত্রে এক মিনিট সময় পাবেন আপনার কথা গুছিয়ে নেয়ার, মেইন পয়েন্টগুলা খাতায় লিখে ফেলবেন। এই ক্ষেত্রে এক্সামিনার থামানোর আগে কথা বলতেই থাকবেন, অন্ততপক্ষে ট্রাই করবেন। কথা বলার নির্দিষ্ট কিছু প্যাটার্ন বানিয়ে ফেলবেন চর্চা করে। ইউটিউবে স্পিকিং এক্সাম এর ভিডিও দেখবেন, তাইলে বুজতে পারবেন পরিবেশটা কেমন হবে।
★Follow http://ieltsliz.com/ to learn more tips and tricks.
★Practice test from Cambridge Books (10-16) or Different Youtube Channel.
★It’s all about CONFIDENCE.
Collected by Meer Eikram.