উচ্চ শিক্ষা অনেকের কাছে স্বপ্নের ও ধরাছোঁয়ার বাইরে মনে হতে পারে। তবে বিশ্বাস করেন, আপনি চাইলে অনেক কিছুই করতে পারেন। আপনার কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের কাছে পৌঁছাতে আবার স্বপ্ন থেকে নিজেকে হারিয়ে ফেলতে। আপনি হয়তো ভুলে গেছেন যে, এইচএসসি পাশের পর ভালো একটা ভার্সিটিতে নিজেকে জায়গা করে নিতে কত কিছুই ছাড় দিয়েছেন!
নিজের দৃঢ়তা আর ইচ্ছাশক্তিকে কোনো কিছুর কাছে হার মানাতে দেননি বলেই কিন্ত আপনি আজ আপনার এই পজিশনে। বাস্তবিক এমন কী আছে যে আপনি অর্জন করতে পারবেন না? সবই আপনার হাতের মুঠোয়, শুধু দরকার মনের মাঝে একটা জেদ, একটা কম্পিটিশন। আর সেই অনুযায়ী নিজেকে তৈরি করা।
আমার দেখা কিছু ব্যক্তি যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় (জগন্নাত কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ) থেকে পাস করেছেন এবং কিছু শিক্ষার্থী যাদের সিজিপিএ ২.৭০, তারা আজ বিদেশের কোনো ভার্সিটির শিক্ষকতা করছেন, কেউ মাস্টার্স আবার কেউ পিএইচডি করছেন। আরেক ছোট ভাই সেই ২০১১ থেকে চেষ্টা করে আসছেন জিআরই দিয়ে ইএসএ যাবেই। অবশেষে ২০১৮ সালে সে তার সাফল্য অর্জন করতে পেরেছেন। তাহলে আপনার যোগ্যতার কী অভাব? না, অভাব শুধু ইচ্ছা শক্তির, অভাব উচ্চশিক্ষা ও স্কলারশিপ ও উচ্চশিক্ষার আবেদনের পদ্ধতি সম্পর্কে ভালো করে জানতে না পারা।
আমি মনে করি যাদের সিজিপিএ ৩.০ বা ততোধিক তাদের অবশ্যই উচ্চশিক্ষার জন্য চেষ্টা করা উচিত। আসলে পাস করার পর আমি নিজেও জানতাম না উচ্চশিক্ষায় কীভাবে কী করে অ্যাপ্লাই করতে হয়। কীভাবে একটা স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে হয়। আমার সাথে চাকরিতে জয়েন করা ব্যক্তিটি যখন উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে চলে যায় তখন আমি বুঝতে পারি আমিও যেতে পারি। বর্তমানে আমাদের অনেক শিক্ষার্থী বিদেশে পড়াশোনা করছেন। আপনি ইচ্ছা করলেই কিন্ত তাদের সঙ্গে কথা বলে নিজেকে প্রস্তুত করতে পারেন। আর এখন ভার্সিটিতে/অনলাইনে উচ্চ শিক্ষার জন্য হেল্প গাইড আছে। এইগুলো ফলো করলেই আপনি অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারবেন।
নিজেকে তৈরি করা :
উচ্চশিক্ষার স্বপ্নটা আমি মনে করি ভার্সিটিতে ভর্তি হবার পর থেকে দেখা উচিত। এতে করে যেমন ভালোভাবে অ্যাকাডেমিক পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বাড়বে তেমনি উচ্চশিক্ষার প্রসেসগুলোও জানা হবে। যেমন রেজাল্টের পাশাপাশি দরকার হয় ভালো ইংলিশ চর্চা (আইইএলটিএস, জিআরই, টোফেল ইত্যাদি)। সাধারণত আমাদের ছেলেমেয়েরা ৩য়/৪র্থ বর্ষে উঠে উচ্চশিক্ষার জন্য আগ্রহ দেখায় ও সেই অনুপাতে কাজ করে। ভার্সিটি লাইফের শুরু থেকে ইংলিশের এই চর্চাসমূহ করতে থাকলে দেখা যাবে তুমি ৪র্থ বর্ষের সময়ই আইইএলটিএস/ জিআরই টেস্ট দিয়ে ভালো একটা স্কোর করতে পারবে।
আর পাস করার পর অনেকের ওপরে ফ্যামিলির একটা রেসপনসিবিলিটি চলে আসে। তখন অনেকে উচ্চশিক্ষার আশা বাদ দিয়ে সাধারণত চাকরির সন্ধানে লেগে যান। তাই ইচ্ছে হলেও তখন এই টেস্ট দিতে পারেন না। তাই আমি বলব যারা উচ্চশিক্ষায় যেতে চান, পড়াশোনার পাশাপাশি আইএলটিএস/ জিআরই এর চর্চা করতে পারেন। এইটা আপনার ভার্সিটির পড়াশোনার কোনো অবনতি ঘটাবে না।
যাই হোক আজ আমি লিখব কীভাবে জাপানে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন ও নিজেকে প্রস্তত করবেন।
জাপানে স্কলারশিপ : জাপানে মূলত নিম্নোক্ত স্কলারশিপে আসা যায়
১. মেক্সট স্কলারশিপ : মেক্সট স্কলারশিপের জন্য দুইভাবে আবেদন করা যায়।
ক) জাপান অ্যাম্বাসি বাংলাদেশের মাধ্যমে : আবেদনের সময় প্রতি বছরের মে মাসে জাতীয় পত্রিকায় আবেদন ডাকা হয়। সীমিত সংখ্যক স্কলারশিপ।
খ) জাপানিজ ভার্সিটির মাধ্যমে : আবেদনের সময় ১ নভেম্বরের থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ভার্সিটি রিকমেন্ডেশনের মাধ্যমে সুযোগ ও স্কলারশিপের সংখ্যাও অনেক বেশি। ২০১৮ সালে ২৬৭ জন বাংলাদেশি মেক্সট স্কলারশিপ পায়।
২. এডিবি স্কলারশিপ : এইখানে জিপিএ এর চাইতে বেশি দরকার ২ বছর অভিজ্ঞতা। যাদের পাশ করার পর দুইবছর জব এক্সপেরিয়েন্স নেই তারা অ্যাপ্লাই করতে পারবেন না। আর আপ্লিকেশনের তারিখ ভার্সিটির ওপর নির্ভর করে।
৩. ওয়ার্ল্ড ব্যাংক স্কলারশিপ : আপ্লিকেশনের সময় সাধারণত প্রতি বছরের মার্চ মাসে।
ভার্সিটি সিলেকশন :
জাপানের সব ভার্সিটিতেই পড়াশোনার সিস্টেম একই। তবে স্কলারশিপের জন্য পাবলিক ভার্সিটি ও ন্যাশনাল ভার্সিটি সিলেক্ট করাই উত্তম। কারণ এইসব ভার্সিটিতে স্কলারশিপের সংখ্যা সাধারণত বেশি থাকে। তাই গুগলে লিস্ট অব পাবলিক ইউভার্সিটি/ ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ইন জাপান লিখে সার্চ দিলেই সব ভার্সিটি পাওয়া যাবে। সব ভার্সিটির ওয়েব পেইজ জাপান, কোরিয়ান, চাইনিজ ও ইংরেজিতে লেখা।
ইমেইল :
আমি শুধু ল্যাবের প্রধানকেই ইমেইল করতে বলব। যদি প্রফেসর না থাকে তাহলে অ্যাসোসিয়েট প্রফেসরকে ইমেইল করেন। মেক্সট স্কলারশিপের জন্য আবেদন শুরু ২-৩ মাস পূর্বে থেকেই প্রফেসরদের ইমেইল করা ভালো। কারণ জাপানিজ কোনো প্রফেসর যদি একজনকে অ্যাপ্লাই করতে বলে তাহলে অন্য কাউকে আর এই সুযোগ দেবে না। মানে অন্য কেউ ইমেইল দিলে রিপ্লাইয়ে বলে দেবে সে একজনকে অ্যাপ্লাই করতে বলেছে। তাই আমি বলব ই-মেইলের মাধ্যমে কমপক্ষে পাঁচ জন প্রফেসরকে ম্যানেজ করে পাঁচটি ভার্সিটিতে অ্যাপ্লাই করতে। তবে, আপনি ৩টা ভার্সিটি থেকে সিলেক্ট হলেও ফাইনাল আপ্লিকেশন (বরাবর জাপান মিনিস্ট্রি) একটাই করতে পারবে। মানে বাকি দুইটা আপনাকে বাদ দিতে হবে।
ই-মেইলে আপনার অ্যাকাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ও কারিকুলাম ভিটা (সিভি) অবশ্যই যুক্ত করবেন। আর ই-মেইলে সেল্প ইনট্রুডাকশন, অ্যাকাডেমিক ডিগ্রি, ডিগ্রি রেজাল্ট, রিসার্চ ইন্টারেস্ট অ্যান্ড হোয়াই ইউ ইন্টারেস্ট টু হিম (প্রফেসর) সম্পর্কে ২০০-২২০ শব্দের মধ্যে লিখলেই ভালো।
আবেদনের খরচ :
জাপানে কোনো ভার্সিটিতে অ্যাপ্লাই করতে কোনো অ্যাপ্লিকেশন ফি লাগে না। তাই আমি বলব কমপক্ষে ৫টি ভার্সিটিতে অ্যাপ্লাই করতে।
আবেদনের সময় প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট :
১. আবেদনপত্র : জাপানের সব ইউনিভার্সিটিতে মেক্সটের আবেদনদের ফর্ম সাধারণত একটাই। যেটা জাপান সরকারের প্রদত্ত ফর্মেট হতে পারে। তাই একই অ্যাপ্লিকেশনে দিয়ে সব জায়গায় আপ্লাই করা যায়। তবে গুটিকয়েক ইউনিভার্সিটিতে অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেম আছে। যেমন টোকিও ইউনিভার্সিটি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রফেসর নিজেই বলে দেবে আপনাকে কী করতে হবে, আর কীভাবে অ্যাপ্লাই করতে হবে আর কী কী ডকুমেন্ট কীভাবে প্রস্তুত করতে হবে।
২. রিকমেন্ডেশন লেটার : স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য রিকমেন্ডেশন একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সব ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইটেই এই ফরম আপলোড করা থাকে। এই ফরমের সঙ্গে ইচ্ছে করলে নিজের লেখা পেপারও যুক্ত করতে পারবে। তবে কার কাছ থেকে রিকমেন্ডেশন নিতে হবে সেইটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ইউনিভার্সিটির রিকমেন্ডেশন লেটারে বলা হয়ে থাকে, ডিন বা প্রফেসর সমপর্যায়ের ব্যক্তি হতে হবে এবং রিকমেন্ডেশন লেটার লিখতে হয় ‘বরাবর প্রেসিডেন্ট (জাপানিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম)। তবে কিছু কিছু ভার্সিটির ক্ষেত্রে ভিন্ন। তাই আমি বলব ডিন বা প্রফেসর হতে সব সময় রিকমেন্ডেশন লেটার সংগ্রহ করতে।
এছাড়া, আপনার রেস্পেক্টিভ সুপারভাইজার ও আপনার জন্য অ্যাডমিশন কমিটির কাছে আপনার জন্য রিকমেন্ডেশন লেটার লিখবে। এই দুই রিকমেন্ডেশন লেটার আপ্লিকেন্ট সিলেকশনের জন্য খুব বড় ফ্যাক্টর।
৩. রিসার্চ প্রপোজাল : জাপানের সব ইউনিভার্সিটির রিসার্চ প্রপোজালের ফর্ম একটাই। সর্বোচ্চ দুই পেইজ। এইটা লিখার জন্য খুব ক্রিটিক্যাল হবার কিছুই নেই। তবে যে বিষয়ে আপনার পড়ার ইচ্ছে ওইটা ভালোভাবে গুছিয়ে লিখতে হবে। কিছু প্রশ্নের উত্তরের মাধ্যমেই আপনি সেইটা গুছিয়ে লিখতে পারেন। যেমন:
ক. যে টপিকের ওপর পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক সেইটা পরিষ্কার? তাহলে টপিকের একটা টাইটেল নির্ধারণ করেন।
খ. এইবার এই টপিকের সম্পর্কে আপনি যা জানেন তা লিখেন যাকে আমরা ইন্ট্রুডাকশন বলি। প্রয়োজন হলে গুগলের হেল্প নেন।
গ. এইবার সেই টপিকের ওপর কিছু কাজ খুঁজে বের করেন (গুগল থেকে)। ২-৩ টা পেপার ডাউন-লোড করে একটু পড়তে হবে শুধু টপিক আর কোন মেথড অ্যাপ্লাই করেছেন আর কী ফল পেয়েছে তা একটু বুঝার জন্য। খুব ডিটেল পড়ার প্রয়োজন নেই। পরিশেষে তিনটা পেপারের ওপর একটা সারসংক্ষেপ তৈরি করি (যাকে আমরা ব্যাকগ্রাউন্ড বা লিটারেচার রিভিউ বলি)
ঘ. এইবার লিখেন, আপনি কেন এই টপিকটা পছন্দ করেছেন, তার ওপর কয়েকটা লাইন। ( আবজেক্ট ও সিকনিফিকেন্ট)
ঙ. কাজটি আপনি কীভাবে করবেন? নিউমেরিক্যাল না এক্সপেরিমেন্টাল স্টাডি সেই সম্পর্কে ৩-৪ লাইন লিখতে হবে। যদি কোনো ওয়ার্কিং ডায়াগ্রাম থাকে তাহলে যুক্ত করতে পারেন।
চ. এই কাজ শেষে আপনি কী আউটপুট (সম্ভাব্য) পাবেন? সেই বিষয়ের কিছু লাইন লিখেন।
ছ. পরিশেষে একটা উপসংহার
তবে প্রপোজাল লিখার জন্যে প্রফেসরকে তার পেপারের জন্য বলতে পারেন। প্রফেসর আপনাকে ই-মেইলে বা ডিএইচএল এ পাঠিয়ে দেবে। আমি নিজেও ২ বার ডিএইচএল এর মাধ্যমে অনেক পেপার পেয়েছি।
৪. ইংরেজির দক্ষতা : জাপানের ভার্সিটিগুলোতে সাধারণত ইংরেজির দক্ষতার জন্য কোনো আইইএলটিএস লাগে না। তবে কিছু ভার্সিটিতে উল্লেখ থাকলেও তার গুরুত্ব খুবই কম। মিডিয়াম অব ইনস্ট্রাকশন ইন ইংলিশ দিয়েই এপ্লাই করতে পারবেন।
৫. পাবলিকেশন : পৃথিবীর সব ভার্সিটিতেই এপ্লিকেশন যাচাইয়ের সময় এইটা প্রধান্য দেওয়া হয়। আমি মনে করি, অ্যাপ্লাই করার পূর্বে কমপক্ষে একটা কনফারেন্স পেপার হলেও থাকা ভালো। সেইটা যেখানেই পাবলিশ হোক না কেন। কারণ এইটা দিয়ে যাচাই হয় আবেদনকারীর রিসার্চ ও পেপার লিখার সক্ষমতা আছে কী নেই। সব পাবলিকেশনের প্রথম পেইজ ( অ্যাবস্ট্রাক্ট পেজ) আপ্লিকেশন ডকুমেন্টের সঙ্গে যুক্ত করেন।
৬. অ্যাকাডেমিক ডকুমেন্ট : ইউনিভার্সিটির মাধ্যমে সত্যায়িত আন্ডার গ্রাজুয়েট সার্টিফিকেট, ট্রান্সক্রিপ্ট অ্যান্ড মিডিয়াম অব ইনস্ট্রাকশন ইন ইংলিশ, ডিগ্রি কমপ্লেশন সার্টিফিকেট (কিছু ভার্সিটিতে প্রয়োজন)
৭. পাসপোর্টের কপি : পাসপোর্ট না থাকলে ন্যামনাল আইডি দিয়েও করতে পারবেন। তবে ভার্সিটির মাধ্যমে সিলেকশনের সঙ্গে সঙ্গে পাসপোর্টের কপি দিতে হবে।
৮. রেজাল্ট : শুধু জাপানে নয়, যে কোনো দেশেই সরকারি বা প্রাইভেট স্কলারশিপ অনেক প্রতিযোগিতামূলক। কারণ এইখানে সিলেকশন হয় একটি কমিটির মাধ্যমে যারা সকল অ্যাপ্লিকেন্টের সব ক্রাইটেরিয়ার ওপর স্কোরিং করে। তাই যাদের সিজিপিএ ৩.৩০ বা অধিক তাদের বলব মেক্সট এডিবি ও ডব্লিউবি অ্যাপ্লাই করতে।
৯. নিজ খরচে পড়াশোনা করা যাবে?
জাপানে ইন্টারন্যাশনাল ছাত্রছাত্রীদের মাঝে ৫০% এর বেশিই হবে চাইনিজ। এদের বেশিরভাগই জাপানে পড়তে আসেন নিজ খরচে। জাপানে টিউশন ফি ৬৫০০-৮০০০ ইউএসডি। যদি প্রফেসর টিউশন ফি ওয়েব করতে পারে সে ক্ষেত্রে জাপানে পড়াশোনা করতে আসলে কোনো সমস্যা হবে বলে আমি মনে করি না। কারণ পড়াশোনার পাশাপাশি মাসে ১২৮ ঘণ্টা কাজ করার অনুমতি থাকে যার মাধ্যমে ১২৮০০০ জাপানিজ ইয়েন ইনকাম করতে পারবে। টোকিওতে ভালোভাবে তা দিয়ে চলতে পারবে আর অন্য কোথাও হলে মাসে ৭০-৮০ হাজার ইয়েনে চলতে পারবে। তবে বাইরে জব করতে চাইলে জাপানিজ ভাষা বলা অবশ্যই জানতে হবে। তবে কারো যদি ভবিষ্যতে জাপানে চাকরি ও জব করার ইচ্ছা থাকে তাহলে আমি বলব জাপানিজ ভাষার প্রাইমারি লেভেল এন৫ ও এন৪ শেষ করে আসতে। ইন্টারন্যাশনালদের জন্যে কাজের অনেক সুযোগ রয়েছে বিশেষ করে যানা জাপানিজ বলতে পারে।
এছাড়া জাপানে অনেক প্রাইভেট স্কলারশিপ আছে যা শুধু ভর্তি হওয়া ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের জন্য।
১০. ভাইবা : আবেদন করার পর প্রফেসর স্কাইপির মাধ্যমে ভাইবার জন্য আপনাকে বলবে। তবে ভাইবা খুবই সিম্পল। ভাইবাটাকে আমি বলব শুধু একটা পরিচিতি পর্ব। শুরুতেই আপনার সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞাসা করবেন। তারপর আপনি কেন জাপানে পড়তে ইচ্ছুক সেই সম্পর্কে কিছু কথা বলবেন। এরপর আপনার প্রপোজাল সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞাসা করবেন। আর প্রফেসর যেই বিষয় নিয়ে কাজ করে আর সম্পর্কে কিছু জেনে রাখা ভালো। শুধু বেসিক কথাবার্তা। তবে এতে নার্ভাসের কিছুই নেই। সব মিলিয়ে মাস্টার্সের জন্য ১৫-২০ মিনিট আর পিএইচডি জন্য ২০-৪০ মিনিট কথাবার্তা হবে। আরেকটি কথা মাস্টার্স না করে পিএইচডিতে যাওয়া সম্ভব না। তাই মাস্টার্স ডিগ্রি থাকলে পিএইচডি এর জন্য অ্যাপ্লাই করতে পারবেন।
Collected