★ IELTS স্পিকিং টেস্টের ধরন:
আইইএলটিএস স্পিকিং সেকশনটি তিনটি ভাগে বিভক্ত। এর জন্য ১৩-১৫ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে।
★ আইইএলটিএস স্পিকিং টেস্ট পার্ট-১:
এই অংশে আপনাকে আপনার নিজের পরিচয় দিতে হবে এবং নিজের সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। এই অংশ সাধারণত ৪ থেকে ৫ মিনিট দীর্ঘ হয়ে থাকে। যেমন আপনি অবসর সময়ে কী করেন? কীসে পড়াশোনা বা চাকরি করছেন? দুই-তিন লাইনে প্রশ্নগুলোর উত্তর দিলেই হবে। সব মিলিয়ে আপনার থেকে বিভিন্ন জিনিস সম্পর্কে আপনার অভিজ্ঞতা জানতে চাইতে পারেন পরীক্ষক।
★ আইইএলটিএস স্পিকিং টেস্ট পার্ট-২:
এখানে আপনাকে একটা টপিক নিয়ে বলতে বলা হবে। কিছু প্রশ্ন ও সাব পয়েন্ট দিয়ে দেওয়া হবে। প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য এক মিনিট সময় দেওয়া হবে দুই মিনিটের বক্তৃতা প্রস্তুত করার জন্য। দুই মিনিটের সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা শেষ হলে তার পরিপ্রেক্ষিতে আপনাকে কিছু প্রশ্ন করা হতে পারে। যেমন আপনার স্মরণীয় কোনো ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নিয়ে বলতে বলা হলো। তখন আপনি আপনার স্পিচে কার সঙ্গে গিয়েছিলেন, কোথায় গিয়েছিলেন, কেন গিয়েছিলেন, কেন এটা আপনার কাছে স্মরণীয়—এসব বিষয় উল্লেখ করবেন। আপনি চাইলে খাতায়ও এসব লিখে রাখতে পারেন। স্পিচ দেওয়ার সময় পরীক্ষক আপনাকে কোনো প্রশ্ন করবেন না।
★ আইইএলটিএস স্পিকিং টেস্ট পার্ট-৩:
এই অংশে মূলত আলোচনার মাধ্যমে ইংরেজি বলতে পারার দক্ষতা যাচাই করা হয়। প্রথম অংশ আর এই অংশের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে এখানে আপনার নিজের চিন্তা-ভাবনা ও সাধারণ জ্ঞানের পরিধি আপনাকে পরীক্ষকের মনে ইতিবাচক ছাপ ফেলতে সাহায্য করবে। দ্বিতীয় অংশে যে বিষয়ে আপনাকে বলতে বলা হয়েছে, এই অংশে ওই বিষয়ের বিষদ আলোচনা করা হয়। তবে এই অংশে প্রশ্নের ধরন আগের দুই ধাপের অপেক্ষা অপেক্ষাকৃত জটিল। কারণ পরীক্ষক এই অংশে আপনার কাছ থেকে আপনার মতামত ও বিশ্লেষণী ক্ষমতা যাচাই করতে চাইবেন।
★ IELTS স্পিকিংয়ে ভালো করতে হলে:
আইইএলটিএস পরীক্ষার অন্য অংশগুলোর তুলনায় স্পিকিং হচ্ছে সবচেয়ে ছোট কিন্তু অপেক্ষাকৃত জটিল অংশ। এর জন্য প্রয়োজন হয় গভীর মনোযোগ, সৃষ্টিশীলতা এবং ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা। স্পিকিংয়ে ভালো করার জন্য অনেক কিছু মাথায় রাখা উচিত। এটা একটা ইন্টারভিউয়ের মতো। পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষককে অভিবাদন জানান। ভদ্রতার সঙ্গে চোখে চোখ রেখে সোজা হয়ে বসে পরীক্ষকের সঙ্গে কথা বলুন।
চারটা জিনিসের ওপর ভিত্তি করে আপনাকে নম্বর দেওয়া হবে। আপনার উত্তরগুলো যেন প্রশ্নের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। থেমে থেমে কথা বলা যাবে না, পূর্ণ বাক্যে কথা বলতে হবে। ইনফরমাল বা সেমি ক্যাজুয়াল ভাষায় কথা বলা যাবে না। আপনার ভোকাবুলারি ও গ্রামার দক্ষতা যেন আপনার কথায় প্রকাশ পায়। গ্রামারের ক্ষেত্রে tense, prepositions, article, conjunction ও এর পাশাপাশি idioms and phrases চেক করা হয়। তা ছাড়া আপনার ভয়েস রেকর্ড করা হবে। তাই স্পষ্টভাবে কথা বলবেন।
★ IELTS স্পিকিংয়ে যেমন হবে প্রস্তুতি:
স্পিকিং টেস্টের জন্য প্রস্তুতি নিতে হলে আপনাকে প্রচুর প্র্যাকটিস করতে হবে। সব রকম রিসোর্স অনলাইনে বিনামূল্যেই পাবেন।
সব সময় ইংরেজিতে কথা বলুন। এরপর এই কথাগুলো রেকর্ড করে শুনুন। তারপর দেখুন আপনি কি Coherence, Lexical Resources, Grammatical Range & Accuracy এবং Pronunciation শর্তগুলো মেনে চলে কথা বলতে পারছেন কি না। তারপর পরের বার সেই ত্রুটিগুলো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করুন। সুযোগ থাকলে অনলাইন মক টেস্ট দিন।
★ IELTS স্পিকিংয়ে যেসব ভুল এড়িয়ে যেতে হবে:
সাধারণত সবাই তিন ধরনের ভুল করে থাকে। চিন্তা করতে গিয়ে যতটুকু বলা উচিত। তার চেয়ে কম বলা। আবার বেশি ব্যাখ্যা করতে যেয়ে অতিরিক্ত বলে ফেলা। না-হলে স্পিচ সাদামাটা করে ফেলা। পরীক্ষার সময় মাথা ঠান্ডা রেখে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে উত্তর করা খুব জরুরি। সতর্কতার সঙ্গে শান্ত হয়ে প্রশ্ন বুঝে উত্তর করুন ভালো ফলাফলের জন্য। উচ্চারণরীতি এখানে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
© মেহনাজ রহমান
অনুলিখন: মুসাররাত আবির